দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দাবি, অফিসগামীদের ক্ষোভ

সারা দেশে সীমিত লকডাউন শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। গণপরিবহণ বন্ধ রেখে চালু রাখা হয়েছে অফিস। তাই বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। সকাল থেকে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাননি অফিসগামীরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেককে।

সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে দেখা গেছে, কয়েকশ মানুষ জটলা পাকিয়ে আছে। কোনো বাস নেই। বিকল্প বাহনও খুব একটা নেই। সিএনজিচালিত অটোরিকশা দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছে। তাই অনেকে ব্যর্থ মনোরথে হাঁটা শুরু করেছেন গন্তব্যের দিকে।

ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল থাকলেও তারা সড়কে চলবে কী চলবে না— এ দ্বিধায় রয়েছে। একজন উবারচালককে আবদুল্লাহপুর থেকে কুড়িল চৌরাস্তা যাবেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে রাজি হন। ভাড়া হাঁকেন ৫০০ টাকা। এতটুকু দূরত্বে এত ভাড়া কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পথে পথে যে ব্যারিকেট তাতে সামনে এগোনো যাবে কিনা নিশ্চিত নয়। ধরলেই মামলা, গুনতে হবে তিন-চার হাজার টাকা।

সিএনজি অটোরিকশায়ও ভাড়া আকাশচুম্বী। বাধ্য হয়েই যাত্রীরা ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তাও আবার এক অটোরিকশায় চারজন বসে গাদাগাড়ি করে।

এদিকে গণপরিবহণের সংকটে ঢাকার সড়কে দাপট দেখাচ্ছে রিকশা। কিন্তু পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। সুযোগ পেয়ে কয়েকগুণ ভাড়া হাঁকছে তারা। গাড়ি না পেয়ে অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় দেখা গেছে যানজট। দুপাশের সড়কজুড়ে ব্যক্তিগত গাড়ি আর রিকশার সারি। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। অফিসগুলোকে তাদের কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বহু প্রতিষ্ঠানই তা করেনি। ফলে অফিসগামীদের মাঝে ভোগান্তির সেই পুরনো চিত্রই দেখা যাচ্ছে।

গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ পিকআপে উঠেও অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এভাবেই রাজধানীতে অফিসগামী যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, কারওয়ানবাজার, নীলক্ষেত, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, আসাদগেটসহ অন্যান্য স্থানের চিত্রও প্রায় একই।